আজ ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রসুলবাগ এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চাক্তাই ডাইভারশন খাল।

মোহাম্মদ জুবাইর চট্টগ্রাম।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ও গণ বসতি এলাকা গুলোর মধ্যে অন্যতম ১৭ নং ওয়ার্ড পশ্চিম বাকলিয়া।
এই ওয়ার্ডের রসুলবাগ আবাসিক খালপাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে চাক্তাই ডাইভারশন খাল।
খালের দুই পাড়ে চারশতের অধিক ছোট,বড় বিল্ডিং,এতে প্রায় ২৫০০ নাগরিকের বসবাস। রসুলবাগ আবাসিক এলাকাটি উত্তর পাড় এ,বি,বি১,সি ও দক্ষিণ পাড়ে এ,বি,সি,ডি ও ই বল্ক হিসাবে পরিচিত। রসুলবাগ আবাসিক খালপাড়ের উত্তর, দক্ষিণ পাড়ে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বয়েস,গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়,সেই সাথে রয়েছে একাধিক বেসরকারি কিন্টারগার্ডেন, হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা। এছাড়াও রয়েছে
স্থানীয় জামে মসজিদ ও কবরস্থান
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই হালকা মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতে এই চাক্তাই ডাইভারশন খালে পানি উপচে পড়ে দুই পাড়ের নিচু বসতবাড়ি,দোকানপাট, স্কুল ও মসজিদ,মাদ্রাসায় জনসাধারণের যাওয়া আসার সড়ক সহ অলি গলি প্লাবিত হয়ে মুল সড়কে চলে যায়। সরেজমিন ঘুরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও রসুলবাগ আবাসিক এলাকার মহল্লা কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ এয়াকুব , বায়তুল মামুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি প্রফেসর নুরুন্নবীর সাথে কথা বললে উনারা জানান,এই এলাকার পাস দিয়ে বয়ে যাওয়া ময়লা আবর্জনা পরিপূর্ণ চাক্তাই ডায়ভারসন খালটি বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় এলাকাবাসীর জন্য চরম দুর্ভোগের কারন হয়ে দাঁড়ায়।অতিতেও এই খাল সংস্কার,ব্রিজ নিষ্কাশনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক ও লিখিত আকারে জানানো হলেও অদ্যাবদি কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এখন শুষ্ক মৌসুমে এই খালের বর্জ নিষ্কাশন ও সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে আগামী বর্ষা মৌসুমে আবারো এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
এই বিষয়ে স্থানীয় হোটেল ব্যাবসায়ী আব্দুল করিম জানান বিগত বর্ষা মৌসুমের শুরুতে নব নির্বাচিত মেয়রের উদ্যোগে চকবাজার ধুনির পুল, ফুলতলা হয়ে রসুলবাগ আবাসিক এলাকার প্রবেশ মুখে চাক্তাই ডাইভারসন খালের বর্জ নিষ্কাশন কাজ শুরু হলেও হঠাৎ অজানা কারণে কার্যক্রম থেমে যায়। তিনি জানান এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তাকে বললে তারা বলেন এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছেন সেনাবাহিনী ও সি ডি এ এই বিষয়ে ওরাই ভালো বলতে পারবেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান আমরা নগরের অধিবাসী সব ধরনের সিটি কর পরিশোধ করার পরও এই এলাকায় জলাবদ্ধতা,গ্যাস, সুপেয়পানির বিষয়ে অবহেলার শিকার।এই সব বিষয়ে কতৃপক্ষ যতাযত পদক্ষেপ না নিলে আমরা স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর